সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার কাকরাইলে রাজউক নকশা জাল জালিয়াতি করে গড়েছে বহুতল মজুমদার ভিলা সারাদেশে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ৩৯০ সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব ২০২৫ উদযাপিত হলো কুয়াকাটায় সাংবাদিকের মোটরসাইকেল চুরি: নিরাপত্তাহীনতায় সাংবাদিক সমাজ, প্রশ্নবিদ্ধ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কাঠালিয়ায় মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার দাবিতে বিএনপি নেতাদের সংবাদ সম্মেলন পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু দেশনায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠিত বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় পিটিয়ে প্রেমিকের হাত-পা ভাঙলেন তরুণী এবার প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো মেঘনা আলমকে
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৮২ শতাংশ ঝুঁকিতে থাকে

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৮২ শতাংশ ঝুঁকিতে থাকে

নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন করোনা ভাইরাসে (২০১৯-এনসিওভি) আক্রান্তদের মধ্যে ৮২ শতাংশ স্বল্প ঝুঁকিতে থাকে। আক্রান্তদের ১৫ শতাংশ অবস্থা কিছুটা খারাপ থাকে। মাত্র তিন শতাংশের অবস্থা সংকটাপন্ন হয়। যাদের আইসিইউতে রাখায় দরকার হয় বলে বলে জানিয়েছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। শনিবার  করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলেন এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর।

সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, বিশ্বে এ পর্যন্ত নতুন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৪৮১ জন। মারা গেছেন ৬৩৭। আর চীনসহ ২৫ দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৭ হাজার রোগীর ওপর করা বিশ্লেষণের তথ্য উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, সেখানে শতকরা ৮২ ভাগ রোগী স্বল্প ঝুঁকিতে থাকে, শতকরা ১৫ ভাগ রোগী কিছুটা ঝুঁকিতে থাকেন। বিশেষ করে যাদের শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা থাকে। শতকরা তিন ভাগ রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন থাকে। যাদের আইসিইউ সাপোর্ট প্রয়োজন হয়। তিনি বলেন, পরিসংখ্যান দেখেই বোঝা যায় এন করোনা ভাইরাস নিয়ে আসলে তেমন আতঙ্কের কিছু নেই। বেশিরভাগ কেসই খুব সাধারণ।

তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন পর্যালোচনা প্রতিবেদন অনুযায়ী শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ১৫১ জন। যা আগের দিনের ছিল তিন হাজার ৬০০ জন। মনে হচ্ছে এটা কমতে শুরু করেছে। যদিও এখনই কিছু বলা ঠিক না তারপরও মনে হচ্ছে পরিস্থিতি কিছুটা ভালোর দিকে যাচ্ছে। অন্তত নতুন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে না। একইসঙ্গে নতুন কোনও দেশ আক্রান্ত হয়নি, এটাও পজিটিভ।

মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, আমাদের দেশে কেবল চীন থেকে আসা ফ্লাইটগুলোকেই স্ক্রিনিং এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হচ্ছে না। অন্যান্য দেশেও করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে। তাই দেশে আসা সব ফ্লাইটের যাত্রীদের স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে। এটা করা হচ্ছে অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য।

তিনি বলেন, মাস্ক ব্যবহার নিয়ে জনমনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। রোগী এবং রোগীর সেবাদানকারী ছাড়া আর কারও মাস্ক ব্যবহারের দরকার নেই। চীনে সবার মাস্ক পরা দেখে অনেকেই মনে করেন আমাদেরও সবার মাস্ক পরা দরকার। কিন্তু চীনে অনেক রোগী রয়েছে, জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত নতুন করোনা ভাইরাসের কোনও রোগী সনাক্ত হয়নি।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com